অপরিকল্পিত আবাসনে খুলনায় কমছে কৃষিজমি : বাড়ছে সবজি ঘাটতির শঙ্কা
১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ এএম | আপডেট: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ এএম
দেশের সবজি ভান্ডারের বড় একটি অংশের যোগান দেয় খুলনাঞ্চল। কিন্তু অপরিকল্পিত আবাসনের আগ্রাসনে খুলনা জেলায় আশঙ্কাজনক হারে কমছে কৃষি জমি। অপরদিকে লবণাক্ততার প্রভাব বাড়ায় বাধা গ্রস্থ হচ্ছে স্বাভাবিক চাষাবাদ। এ অবস্থা চলতে থাকলে শুধু খুলনা নয় সারা দেশের সবজি চাহিদায় ঘাটতি পড়তে পারে। ফলে ফসলের নিবিড়তা বাড়াতে প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর তাগিত দিচ্ছেন কৃষিবিদরা।
কৃষি স¤প্রসারণের তথ্যমতে ২০০৯-১০ সালে খুলনা জেলায় আবাদী জমির পরিমান ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার ৪৬২ হেক্টর যা বর্তমানে কমে ১ লাখ ৫২ হাজার ৯১১ হেক্টরে দাড়িয়েছে। এক যুগের ব্যবধানে জেলায় কৃষি জমি কমেছে ২ হাজার ৫’শ হেক্টর। এজন্য কৃষি জমির অপরিকল্পিত ব্যবহারকে দায়ী করছে কৃষি অধিদপ্তর।
কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর খুলনার উপ-পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর আলম জানান, সরকার থেকে নির্দেশনা রয়েছে দুই ফসলী, তিন ফসলী জমিতে আবকাঠামো নির্মাণ করা যাবে না। কিন্তু উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমোদন দিয়ে দেয়। এখানে আমাদের বলার বা করার কিছু থাকে না। তবে এই ধারা অব্যহত থাকলে খুলনায় কৃষি কাজ করার জমি খুঁজে পাওয়া যাবে না।
অন্যদিকে এই জেলাতে কৃষির জন্য অন্যতম চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছে লবনাক্ত জমির পরিধী ও পরিমান বৃদ্ধি বলছে মৃক্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইন্সটিটিউট। জেলার প্রায় ৯৬ হাজার ৩৪১ হেক্টর জমি উচ্চ মাত্রার লবনাক্ততায় আক্রান্ত।
খুলনা মৃক্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা জি এম মোস্তাফিজুর রহমান জানান, খুলনা জেলায় ১০টি উপজেলা রয়েছে। এর আয়তন ২ লাখ ১৩ হাজার ৮২০ হেক্টর। এর মধ্যে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৯৬০ হেক্টর জমি বিভিন্ন মাত্রায় লবণাক্ততায় আক্রান্ত। অনুপাত আকারে বলতে হয় খুলনার ৬৯ শতাংশ জমি লবণাক্ততায় আক্রান্ত।
কৃষিবিদরা বলছেন, পতিত জমি চাষের আওতায় আনা আর প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ফসলের নিবিড়তা বাড়ানো সম্ভব না হলে দিন দিন এই অঞ্চলে ফসলের উৎপাদন হ্রাস পাবে যা জেলাসহ জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলবে।
খুলনা কৃষিস¤প্রসারণ অধিদপ্তরের সিনিয়র মনিটরিং কর্মকর্তা কৃষিবীদ মো. মোছাদ্দেক হোসেন জানানা, দেশের উত্তরারঞ্চলে ফসল বাড়ানোর সুযোগ নেই। কিন্তু দক্ষিণাঞ্চলের সুযোগ রয়েছে। এখানে লবণাক্ততাও রয়েছে। তারপরও এখানের জমিতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে দুই ফসল, তিন ফসল কোন কোন ক্ষেত্রে ৫ ফসলও করা সম্ভব। তবে এ এলাকার কৃষি জমি যদি কমে যায় তাহলে শুধু দক্ষিণাঞ্চলের জন্য হুমকি নয় সারা দেশের জন্য একটি বড় হুমকি।
তবে আশার কথা শুনালেন খুলনা কৃষি অধিদপ্তর। তারা বলছে, ইতোমধ্যেই পতিত জমি চাষের আওতায় আনতে শুরু করেছি। ফলে গেল এক দশকে নতুন করে চাষাবাদের আওতায় এসেছে জেলার ৩ হাজার হেক্টর জমি। তাই খাদ্য নিরাপত্তায় কৃষি রক্ষায় আইনের শক্ত প্রয়োগের আহবান বিশেষজ্ঞদের।
বিভাগ : অভ্যন্তরীণ
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
লঙ্কান টি-টোয়েন্টি দলে নেই ওয়েলালাগে
ঢাকা বাণিজ্য মেলায় প্রথম অংশ নিচ্ছে পাকিস্তান ফার্নিচার কাউন্সিল
টিএসসিতে গিয়ে ক্ষমা চাইলেন অভিনেত্রী মেহজাবীন
সীমান্তে তিন বাংলাদেশিকে হত্যার অভিযোগ বিএসএফের বিরুদ্ধে
আসাদের পতন : সিরিয়ায় ফের চালু হলো বাণিজ্যিক ফ্লাইট
গুমে জড়িত : ২০ সেনা-পুলিশ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
গাজীপুরের যানজট ঠেকল রাজধানীতে
সিরিয়ার অস্ত্রে সয়লাব লেবানন, ২৫ ডলারেও বিক্রি হচ্ছে একে-৪৭ রাইফেল
ভারত থেকে আসছে আরো ৫০ হাজার টন চাল
একই রশিতে মা-মেয়ের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
ভারতে যাত্রীবাহী ফেরিতে স্পিডবোটের ধাক্কা, নৌবাহিনীর ৩ সদস্যসহ নিহত ১৩
গাজায় বর্বর হামলা চলছেই, আরও ৩৮ ফিলিস্তিনিকে হত্যা
গাজীপুরে মাটি বোঝাই ড্রামট্রাক চাপায় নারীর মৃত্যু, ট্রাকে আগুন
বায়ার্ন ছাড়বেন জামাল মুসিয়ালা?
আন্তঃমহাদেশীয় কাপ চ্যাম্পিয়ন রিয়াল মাদ্রিদ
জিয়াউল হাসানের দুর্নীতি অনুসন্ধানে দুদক টিম
বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র
বাংলাক্রাফট নির্বাচন পদ্ধতির অনিয়মের প্রতিবাদে নির্বাচন সম্মিলিত ফোরামের বর্জন
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদার সমিতির নতুন কমিটি গঠন
কামরুল-সোলায়মান-এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান নজিবুর রিমান্ডে